Tuesday, July 26, 2011

সমুদ্রজলে সাদা বৃষ্টি










           উত্তাল সমুদ্রজলে ছুটছে ঘোড়া
           প্রবল বেগে
আর, দূর থেকে সাদা বৃষ্টি আসছে
             আমাদের দিকে
মুগ্ধ আমরা, ডুবে যাচ্ছে পা আমাদের
             উচ্ছল জলে
সাদা বৃষ্টি আরও সাদা হয়ে নেমে এলো
             ক্যাসুরিনা গাছে
সরে সরে যাচ্ছে বালি, সাদা ফেনা

আর, আমরা বৃষ্টিতে ভিজে ভেসে যাচ্ছি

             ঢেউয়ে ও জলে

Thursday, April 7, 2011

Alone in the Crowd of Masks


Today the earth rotates around a tricky path,
Few dark specks are on canvas.

And, faces behind the masks are such,
Even the imminent full moon gets hidden ...
The green rains get wiped away by unwanted fog...

Faces get lost ...
Masks multiply in numbers ...

In between the faces and the masks
somewhat
exists here a series of prolonged living.

And, in the crowd of masks, I , all alone
continue searching for faces.

Translation: Soma Roy

Monday, February 14, 2011

Gothenburg



One July afternoon we travelled by train from Oslo in Norway and reached Gothenburg in Sweden. Gothenburg, the second largest city of Sweden lies by the sea at the mouth of Gota Alva or the River Gothia. The city was founded by King Gustavus Adolphus of Sweden in 1621 and was built like a fortress to protect the sea port.
Lilla Bomen

Gothenburg railway station bears the architecture of the nineteenth century. The tram and bus terminals are just outside the main gate with information centres to help the tourists. The tramways system covers most parts of the city. However, lack of subway is due to the soft ground on which Gothenburg is built. We boarded a bus and headed towards our host’s place.

Like other places in Scandinavia, Gothenburg’s days are longer than the nights during summer. Sunlight extends upto 17 hours here while only about 7 hours in winter. The average temp during the days we were in Gothenburg was around 20’C to 21’C. Basically the city has a mild climate and gets quite a lot of rain throughout the year due to the Gulf Stream. Snowfall occurs from January to March, but snow cover does not linger long.
Nordstan Super Market
With the bright sunshine still over our heads we went up a hill to Ramberget. This is the highest point in Gothenburg with boulders lying all around. It is 282 feet above sea level and one can get a very nice view of the entire Gothenburg lying below. As the story goes this place got its name from “Ram” – a demon, against whom the city inhabitants had fought a bloody war. “Ram” had stood here and had thrown boulders at them. However, the inhabitants had won.

Ullevi

We drove down and went to Konstmuseet, Gotheburg’s art museum and saw quite a number of artworks of Van Gogh, Picasso and other renowned artists. Some new modern works based on Nordic art were also on display. At the Hasselbled Photo Centre, photography of Swedish and other foreign photographers could be found. The adjoining bookstore stocked a lot of priceless books on art.

Sunday, February 13, 2011

ইচ্ছে হয়


ইচ্ছে হয় বসি তোমার পাশে , কোলাহলে, বিবর্ণ পাব্‌-
পায়ে পা কাঁধে কাঁধ হাঁটুতে হাঁটু...
তোমার নিঃশ্বাসে উবে যাবে কপালে ঘাম আমার
তোমার জন্য সরে যাবে আমার ঠোঁটের যাবতীয় বিস্বাদ
দু’চোখে তুমি খুঁজবে আমায়
ইচ্ছে হয় কোলাহলেও মৃদুস্বরে তোমার থাকবে তৃষা।

ইচ্ছে হয় বসি তোমার পাশে, অন্ধকার বারান্দাতে
গতকালের ভেজা কাপড় সেখানে উড়বে না ফড়ফড়
ইচ্ছে হয় রাত্রিভাষা ছুঁইয়ে যাক আমাদের
আমরা দেখবো ছায়া-ছায়া খেলা
           আর সময় বয়ে যাবে অলোক-সুন্দর দেওয়ালে
ইচ্ছে হয় তোমার আঙুল অভ্রান্ত খুঁজে নেবে আমারগুলি
ইচ্ছে হয় অভ্যাস-ঘর ছাড়িয়ে যেন দাঁড়িয়ে থাকি আমি।


মালয়ালি লেখিকা অনিতা নায়ার-এর আই ওয়ান্ট’-এর অনুবাদ,
মূল ভাষা ইংরেজি, ভাষান্তরঃ ঈশিতা ভাদুড়ী

Saturday, February 12, 2011

Full Stop ?

How far will you shift, and shift?
From comma to semicolon,
From there to full stop?


     (translation soma roy)

Fairy Tales


Night blends with fire and moon
The scene of a turbulent sea erupts
The Sohini-Sitar plays on
With illuminated postures,
fairy tales are woven now

(translation soma roy)

Alphabets Cry Alone

Amnesic words are far away,
alphabets cry in solitude.
A few feathers that float all around,
Can sun or moon create in them
some other art-form?

(translation soma roy)

হোয়াইট লেডি


বার্গেন হল ফিওরডের প্রবেশ-পথপশ্চিম নরওয়ের ফিওরড-ই যে স্ক্যান্ডিনিভিয়া-ভ্রমণার্থীদের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ একথা অনস্বীকার্ বার্গেন শহরের প্রাণকেন্দ্র হার্বার-অঞ্চল থেকে ফিওর্‌ড্‌ ট্যুর করা যায়, আমরা সেই ইচ্ছেতেই গুটিগুটি এগোলামকাউন্টারের মহিলা টিকিট দেওয়ার সময় আঙুল তুলে একটি লঞ্চ দেখিয়ে বললেন, চারটের সময় ছাড়বেতখন ঘড়িতে তিনটে পনেরো, পঁয়তাল্লিশ মিনিট হাতে সময়, আমরা বাজারে রাস্তায় এলোমেলো ঘুরে বেড়িয়ে পৌনে চারটের সময় এসে দরজার সামনে দু-চারটে মানুষের পেছনে লাইনে দাঁড়ালাম এবং দাঁড়িয়েই রইলাম, ঘড়িতে এদিকে চারটে বেজে গেলব্যাপারটা কি! দরজা খোলার কোনো চেষ্টাই নেই কেন! ইউরোপীয় মানুষেরা ত খুবই সময়নিষ্ঠ, তবে এম্ন অঘটন কেন? অতঃপর প্রশ্ন করে জানতে পারলাম সেটি আদপে আমাদের লঞ্চ নয়কি কান্ড! আমাদের লঞ্চ গেল কোথায়? কাউন্টারের মহিলা তো হাত দিয়ে এই লঞ্চটিকেই দেখিয়েছিলেনআমাদেরকে তখন সবাই দেখালো, ওই দেখো তোমাদের লঞ্চ ঘাট ছেড়ে চলে গেলতাকিয়ে দেখি, দূরে একটি লঞ্চ যাচ্ছে, অনেক দূরেহায়রে আমাদের এতগুলো ক্রোনার পুরোটাই জলে গেল! ছুট্‌ ছুট্‌ ছুট্‌ কাউন্টারে পৌঁছালাম
কাউন্টারের মহিলা বললেন - লঞ্চ তো তোমাদের ছেড়ে গেছে বাপু, টিকিটটা কালকের জন্য করে দিচ্ছি, তোমরা কাল যেও বরং
- আরে না না কাল তো আমরা সকালের ট্রেনেই অসলো ফিরে যাবো, দেখো আমরা ইন্ডিয়া থেকে এসেছি, বার্গেন থেকে ফিওর্‌ড্‌ না দেখে ফিরে যাবো?
ভদ্রমহিলা তক্ষণা কাউকে ফোন করলেন, তারপর কোনো বাক্যব্যয় না করে অফিসঘর থেকে বার হয়ে আমাদের দুজঙ্কে দুহাতে নিয়ে একটি বাতানুকুল ট্যাক্সিতে ওঠালেনট্যাক্সিতে কেন উঠবো! বিপদের ওপর বিপদ! মহিলার কাছে এসে তো আরও মুশকিলে পড়লামআমাদের অবস্থা না বুঝেই ট্যাক্সিতে উঠিয়ে দিছে, কতগুল নরউইজিয়ান ক্রোনার আরও খরচ হয়ে যাবে কে জানে! নাহয় ফিওর্‌ড্‌ ট্যুরটা নাই করলাম! কিন্তু ভদ্রমহিলা আমাদেরকে কোনোই অবকাশ দিচ্ছেন না কিছু বলারট্যাক্সি-ড্রাইভারের সঙ্গে নিজস্ব ভাষায় অনেক অনেক কথা বলে ভদ্রমহিলার সময় হল আমাদের দিকে তাকানোর, বললেন - ড্রাইভার তোমাদেরকে একটি পয়েন্টে পৌঁছে দেবে, সেইখানে হোয়াইট লেডি নামের লঞ্চ এসে তোমাদেরকে তুলে নেবে, তোমাদের কোনো খরচ নেই, হোয়াইট লেডি এই খরচ বহন করবেতখন জানতে পারলাম লঞ্চটির নাম হোয়াইট লেডি, পরে দেখলাম টিকিটেও লেখা আছে
যাইহোক ট্যাক্সি জর কদমে বেশ অনেকক্ষণ ধরে চলল, প্রায় তিরিশ মিনিট, জনমানবহীন রাস্তা দিয়েআমাদের কিন্তু বেশ ভয় হতে থাকলো, এমন জনমানবহীন রাস্তায় দুজন তরুনীকে মেরে পাসপোর্ট ডলার লুট হয়ে যাওয়া আমাদের দেশে এমন বিরাট কোনো ব্যাপার নয়কিন্তু তারা যতই রুক্ষ হোক, লোক কিন্তু সজ্জনতাই ড্রাইভার বিনা বাক্যব্যয়ে আমাদেরকে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দিয়ে চলে গেলএমন ফাঁকা জায়গায় আমরা দুটি মহিলাই শুধুমাত্র দাঁড়িয়ে, কখন লঞ্চ এসে আমাদেরকে তুলে নেবে এই অপেক্ষায় লঞ্চ যদি না আসে তো হয়ে গেল! ফিরব যে তার কোনো বযবস্থাই নেই, কোনো যানবাহনের চিহ্ন নেই, কোনো ফোন বুথও আশেপাশে নেই, বুথ থাকলে কি হতো তা অবশ্য জানি না
আমরা শুধুশুধুই দুশ্চিন্তা করছিলাম, দু-চার মিনিটের মধ্যেই লঞ্চ এল, শুধুমাত্র আমাদের দুজনের জন্যই ওই ঘাটে লঞ্চ ভিড়লো এবং আমাদেরকে তুলে নিলআমাদের ফিওর্‌ড্‌ ভ্রমণ অবশ্য কিছুক্ষণ পর থেকে শুরু হল, কিন্তু পুর ঘটনাটি আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ভাবা যায়?
এই ঘটনার অনেকদিন পর, দুই কিংবা তিন বছর আগের একটি ঘ্টনার কথা না উল্লেখ করলে লেখাটি অসম্পূর্ণ রয়ে যাবেপশ্চিমবঙ্গ সরকারের ট্যুরিজ্‌ম্‌ ডিপার্টমেন্ট আয়োজিত কলকাতার সাবেক পুজাগুলি দেখার জন্যে ্বাসে উঠবার আগে তাদের অফিসে বসে আছি, সেই স্ম্য এক যুবক কাউন্টারে এলেনকাউন্টারের মানুষ এবং সেই যুবকের কথোপকথনে বোঝা গেল, সেই যুবক ত্রিপুরা থেকে এসেছে, কলকাতা শহর দেখার নির্দিষ্ট ট্যুরটি নেওয়ার কথা ছিল তার, কিন্তু সে আসতে কিছু দেরী করেছে, বাস ছেড়ে চলে গেছে হুবহু আমাদের দশ বছর আগের বার্গেনের হোয়াইট লেডি উপাখ্যানকিন্তু পরবর্তী ছবি কিন্তু সম্পুর্ণ আলাদা এই ত্রিপুরা-বাসী যুবক পরদিন সকালে ত্রিপুরা ফিরে যাচ্ছে শুনেও কাউন্টারের ওপরের মানুষ কিছুই করতে পারলো না, নিদেনপক্ষে টাকাতাও ফের দিতে পারলো না
এ হেন অবস্থায় বড় বেদনা, বড় আক্ষেপ আমরা কেন তাদের মত হতে পারি না!!

Wednesday, February 9, 2011

গ্রেট ব্যরিয়র



না বুঝে কাজ করার বিপদ অনেক কখনও কখনও খুব অ্যাডভ্যাঞ্চারাস হয়ে ফল না বুঝেই কিছু কিছু কাজ করে ফেলি, সোমাকেও করতে বাধ্য করিঝক্কিটা অবশ্য সোমাকেই পুরোটা সামলাতে হয়
আমরা ম্যাকাও-তে 'গ্রেট ব্যরিয়র'-এ যখন গেলাম, বাস থেকে নেমে দেখি, হাজার হাজার মানুষ একটা গেট দিয়ে ছুটে ছুটে ঢুকে যাচ্ছেকোথায় ঢুকছে তারা কে জানে! ওই হাজার হাজার মানুষের ব্যস্ত ছোটা কিভাবে যেন আমাদেরকেও টেনে নিয়ে গেলভেতরে ঢুকে দেখি, অনেক কাউন্টার, বিশাল লাইন, জনগণ হাতে পাসপোর্টবহু জিঞ্জাসাবাদের পর জানা গেল, মানুষজন ওপাড়ে চিনে যাচ্ছেখুব ভালো, আমরাও যাবোদেওয়ালের ওপাড়ে ঝুহাই (zhuhai), চিনে শহর, গুয়াঙ্গডঙ্গ (guangdong) প্রভিন্সভারত থেকে রওনা হওয়ার আগে সোমা আনেক বলেছিল চিনটাও ঘুরে আসা যাক্‌, আমি মোটেও রাজি হই নিকিন্তু ম্যাকাওতে ওই অত ভিড়ের মানুষ এবং তাদের প্রবল ঊত্তেজনা দেখে আমিও হঠা খুব উত্তেজিত হয়ে পড়লাম, মনে হল একবার ওই বিরাট দেওয়াল পার করে ওদিকে গিয়ে শহরটাকে পাঁচ মিনিট দেখে আসিকিন্তু আমাদের যে ভিসা নেই, আমাদের যেতে দেবে কেন?
সোমার কথা না শুনে দাঁড়িয়ে পড়লাম ভিড়ের পেছনেকাউন্টারের লোকটিকে সোমা বলল, আমাদের ভাই চিনের ভিসা নেই, আমরা আজই হংকং থেকে এসেছি ম্যাকাও-তে, আজই আবার হংকং-এ ফিরে যাবো, এর মধ্যে আমরা চিন দেশটি একটু দেখে যেতে চাই (যেন মঙ্গলগ্রহ!) লোকটি কিছুই না বলে হেসে আমাদের দু-জোড়া পাসপোর্টে (তখন আমাদের একেকজনের একেক জোড়া করে পাসপোর্ট) ছাপ মেরে ছেড়ে দিলআমার মুখে দিগ্‌বিজয়ীর হাসি, আমার বুদ্ধিতেই না হল, ভিসা ছাড়াই কেমন চিনে যাচ্ছি আমরা!
গেট পার হয়ে বিরাট উঠোন চত্বর হেঁটে গিয়ে দেখি, ও বাবা! আরেকটি বাড়ি! সেটি চিনের অধীন, সেখান থেকে ছাড়া পেলে তবেই আমরা ঝুহাই শহরে ঢুকতে পারবো! এখানেও অনেক অনেক মানুষের পেছনে আমরা দাঁড়িয়ে পড়লামএই বাড়িটি এবং বাড়ির মানুষজনকে দেখেই কেমন মনে হল চিনে পোঁছে গিয়েছিসমস্ত কর্মচারিদের মাথায় কদমছাঁট চুল, মুখের মধ্যে কেমন রুক্ষ ভাব, এমন কি মহিলাদের চেহারাগুলিও যেন কেমন কেমন, খুবই কঠোর প্রকৃতিরআমাদের পালা এল যখন, আমাদেরকে কিছুই বলতে না দিয়ে ইমিগ্রেশন অফিসার অনেক উল্‌টে পাল্‌টে পাসপোর্টগুলি দেখলশেষমেষ তার প্রশ্ন কই, চিনের ভিসা কই? আরে বাবা, সেটাই তো এতক্ষণ ধরে বলে যাচ্ছি, আমাদের চিনের ভিসা নেইমানে? সে ত তাজ্জব, এমনটা শোনেইনি কখনো সেলাঠি-ঝাঁটা মারে নি অবশ্য, একেবারে ফিরিয়েও দেয় নি, দোতলাতে যেতে বলল, সেখানে ভিসা পাওয়া যাবে
সেখানেও গেলাম সোমার বারণ না মেনেমহিলা অফিসার তখনই তিনদিনের জন্য চিনের ভিসা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত, কোনোই কাগজপত্র কিছুই চাই না, ভিসা-মূল্যও এমন কিছুই না, ভারতীয় মূল্যে মাত্র ছশো টাকা ছিল ২০০১ সালেযেই দেখলাম বিষয়টি এত সহজ, অমনি কেমন যেন উসাহটি মরে গেল ভেবে দেখলাম যেহেতু বিকেলবেলাতেই আমাদের হংকং-এ ফিরে যেতে হবে, এবং ম্যাকাওতে আরো কিছু জায়গা তখনও আমাদের যাওয়া বাকি, আমাদের হাতে কুড়ি-তিরিশ মিনিটের বেশি সময় চিনকে দেওয়ার উপায় নেই, অতএব ভিসা নিয়ে লাভ কি!
ফেরার সময় আবার আর এক জ্বালা! ম্যাকাও ইমিগ্রেশন অফিসার আমাদের ঢুকতে দেবে না, আমাদের পাসপোর্টে চিনের ছাপ নেইঅতএব কোথা থেকে এলাম আমরা! একবার ম্যাকাওর গেট দিয়ে যখন বার হয়ে গিয়েছি তখন চিনে না গিয়ে ফিরে এলে কি করে হবে? কেউ অমন করে নাকি? আমাদের যে আদপে চিনের ভিসাই ছিল না এবং তা সত্ত্বেও ম্যাকাওর ইমিগ্রেশন অফিসার আমাদের সেদিকে যেতে দিয়েছিল, সেকথা আর কতভাবে বোঝাবো! আসলে তার কাজ তো বাধা দেওয়ার ছিল না, ছাপ মেরে ছেড়ে দেওয়াই তার কাজ একথা আমাদেরই বোঝা উচি ছিল
লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে আমাদের পালা যখন এল কাউন্টারের লোক কিছুই বুঝলো না, চক্ষু-বিস্ফারিত তাকিয়ে রইল কিছুক্ষণ, তারপর সে অন্য কাউকে ডাকলো, দ্বিতীয়জন ডাকলো আরেকজনকে, এইভাবে কিছুক্ষণ একে অকে ডাকাডাকির পর চতুর্থজন আমাদেরকে একটা ঘরে নিয়ে গেল (এই রে! নিশ্চয়ই দণ্ডনীয় অপরাধ করে ফেলেছি! বন্দি করে রাখবে নাকি!), এবার আমি সোমার কথা না শুনে কাজ করার জন্যে নিজেকে দুষতে লাগলামচতুর্থ মানুষটি অবশ্য বেশ বুদ্ধিমান, আমাদের বোকামিটা সহজেই ধরতে পারলো, পুরো গল্প শুনে পাসপোর্টে ছাপ মেরে ছেড়ে দিলভাগ্যিস! আমি তো ভেবেছিলাম, আর বোধহয় ছাড়াই পাবো না, না-ঘরকা-না-ঘাটকা হয়েই রয়ে যেতে হবে